নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদে প্রবাসী পরিবারের উপর হামলা ও বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ৭ জুলাই (মঙ্গলবার) বেলা ২টার দিকে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের উত্তর লরাবাক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, ওই এলাকার শামীনা সুলতানা রুমার স্বামী ছৈয়দ আলম দীর্ঘদিন ধরে সৌদিআরবে রয়েছেন। সেই থেকে প্রতিবেশী মৃত আবুল বশরের ছেলে রেজাউল করিম তাকে বিভিন্ন সময় অনৈতিক প্রস্তাব দিতো। তারই জেরে তার পরিবারের সাথে শামীনার পরিবারের বিরোধ শুরু হয়। এক পর্যায়ে রেজাউল তার বিরুদ্ধে এলাকায় নানা রকম বদনামও করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এমনকি ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় মোবাইলে মোটা অংকের টাকাও দাবি করতো।
এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে সে নানা কায়দায় হুমকি দিতে থাকে। সর্বশেষ ঘটনার দিন শামিনার ছেলে শাহরিয়ার আবদুল্লাহ সাজিদ (১৩) রেজাউলের পুকুর পাড়ের দিকে গেলে রেজাউলের আত্মীয় হাফসা বেগম সাজিদ ও তার মায়ের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। রেজাউল এক পর্যায়ে এসে সাজিদকে মারধর শুরু করে। ছেলের কান্নার শব্দ শুনে তাকে উদ্বার করতে গেলে শামিনাকেও ধাওয়া করে। কোন রকমে মা-ছেলে পালিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে রেজাউল, মহসিন, আজিজ, জুনায়েদ, রিশাদ, হামিদা, হাছিনাসহ আরও কয়েকজন শামিনার ঘরে হামলা করে জানালার গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে।
অভিযোগে বলা হয়, জানালা দিয়ে তাদের ছোঁড়া উপর্যোপরি ইটের আঘাতে শামিনার শিশু কন্যা আরিফাও গুরুতর জখম হয়। এরপর তারা ঘরে মানুষের মলও নিক্ষেপ করে। পরে ঘরের দরজা খুলতে না পেরে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে দেয়। পরে জানালা দিয়ে শুকনো নারিকেল পাতায় আগুন দিয়ে ঘরের ভেতরে আগুন নিক্ষেপ করে তাদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে।
শামিনা জানান, হামলাকারিদের ছোঁড়া আগুনে তার ঘরের কাপড় ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। পরে তাদের হৈচৈ শুনে দেবর ছৈয়দ নুরসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে বাইরে থেকে দেয়া তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তাদের উদ্ধার করে। এ সময় হামলাকারীরা মামলা অভিযোগ করলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
হামলায় আনুমানিক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে দাবি করা হয়।
সংঘটিত ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করে ঈদগাঁহ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান হামলার শিকার গৃহবধূ শামিনা সুলতানা রুমা।
অপরদিকে প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।