নিজস্ব প্রতিবেদক
মায়ের সাথে ঘুরতে বেরিয়েছিলো হরিণের বাচ্চাটি। ঘুরতে ঘুরতে একসময় মাকে হারিয়ে ফেলে শিশু বাচ্চাটি। মাকে খুঁজতে খুঁজতে একপর্যায়ে লোকালয়ে চলে আসে হরিণের বাচ্চাটি। অবশেষে নজরে পড়ে মানুষের চোখে। আটকে রাখে হরিণের বাচ্চাটিকে। খবর দেয়া হয় বনবিভাগের কর্মকর্তাদের। শেষে ঠাঁই হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে।
২৯ জুন সোমবার বিকেলে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলার আমতলী পাড়া থেকে ডলুছড়ি বিটের কর্মকর্তারে গিয়ে ওই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে। পরে ওই বাচ্চাটিকে কক্সবাজারের চকরিয়াস্থ ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে বাচ্চাটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটেরেনারি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ইনচার্জ ফরেষ্টার মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, উদ্ধার হওয়া হরিণের বাচ্চাটি বিলুপ্ত প্রজাতির মায়া হরিণ। এ ধরনের হরিণ সাধারণত পাহাড়ি এলাকায় দেখা যায়। বর্তমানে এ প্রজাতির হরিণ বিলুপ্ত প্রায়। মাঝে মধ্যে পথ ভুলে গভীর জঙ্গল থেকে লোকালয়ে চলে আসে। বাচ্চাটির বয়স আনুমানিক ১৫দিন। মাকে হারিয়ে হরিণের বাচ্চাটি একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই মায়া হরিণের বাচ্চাকে বর্তমানে পার্কের ভেটেরেনারি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, একজন সদ্য শিশু সন্তানের মা না থাকলে যে রকম অবস্থা, এটাও সেরকম। বাচ্চাটি এখনো যেহেতু দুগ্ধ শিশু বাচ্চা, তাই মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে ওই বাচ্চাকে লেকটোজেন-১ খাওয়ানো হচ্ছে। প্রতি ঘন্টা পর পর তাকে লেকটোজেন-১ দেয়া হচ্ছে। রাতে দূধ খাওয়ানোর জন্য একজন স্টাফকে নাইট শিফটে ডিউটির জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে। যেহেতু বাচ্চাটির মা নেই তাই আরো বেশ কয়েকমাস তাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। আমরা চেষ্টা করছি বাচ্চাটিকে মায়ের অভাব পুরণ করতে।