উড়তে থাকা পিএসজিকে অবশেষে থামাল বায়ার্ন মিউনিখ। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে নেইমার-এমবাপেদের ১-০ গোলে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে লেয়ানডোস্কিরা। প্রথমবার ইউরোপ সেরার আসরে ফাইনালে উঠেও রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো পিএসজিকে।
শিরোপার খুব কাছে এসেও পিএসজির জার্সিতে শিরোপা না পাওয়ার যন্ত্রণা পুড়িয়েছে দলের সেরা তারকা নেইমার জুনিয়রকে। তাইতো খেলা শেষে অশ্রুসিক্ত নয়নে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। এমন দৃশ্য দেখে আর্জেন্টিনার সমর্থক হওয়া পরও ব্রাজিলিয়ান তারকার জন্য মন খারাপ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার।
শুরু থেকেই পিএসজি-বায়ার্নের পাল্টাপাল্টি আক্রমণ। তবে আক্রমণ আর পালটা আক্রমণের পরও গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। ০-০ সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে চড়াও হয়ে খেলতে থাকে বায়ার্ন। ৫৯ মিনিটে পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখাও। ২০ গজ দূর থেকে জশোয়া কিমিচের ক্রস থেকে দারুণ নিচু হেডে ডান দিকের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান ফরাসি মিডফিল্ডার কিংসলে কোম্যান। এরপর আর কোনো দল গোলের দেখা না পাওায়১-০ গোলের জোয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন।
ফাইনালের পর ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন মাশরাফি। তিনি লিখেছেন, ‘একটা ম্যাচ শেষে কতো ভালো এবং খারাপ লাগা কাজ করছে… ১-একজন আর্জেন্টিনার ফুটবল সমর্থক হিসাবে ডি মারিয়ার হার এতটুকুও খারাপ লাগেনি। ২-এমবাপের গতির কাছে আর্জেন্টিনার শেষ বিশ্বকাপের বিদায় এখন চোখে ভাসে তাই ওর জন্যও খারাপ লাগেনি এতটুকুও। ৩-লেয়ানদভস্কি বা মুলার কারও উৎযাপনও নিতে পারছিনা। ৪-আবার ব্রাজিলের সমর্থক না হয়েও নেইমারের জন্য অস্থির লাগছে। মনে হচ্ছে ও পেলে খুব ভালো লাগতো। ৫-পরে বুঝতে পারলাম এটাই মূল কারণ যে জার্মানির কোন জয় আমি নিতে পারি না। কারণ আর্জেন্টিনা ওদের কাছে ধরা।’