বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এখানে সৈকতের টানে ছুটে আসেন লাখ লাখ দেশী বিদেশী পর্যটক। কিন্তু সেই সৈকতকে ‘দ্বি-খণ্ডিত’ করার অভিযোগ উঠেছে ইনানীর অভিজাত হোটেল রয়েল টিউলিপের বিরুদ্ধে।
সৈকত ও বালিয়াড়ি দ্বিখণ্ডিত করা নিয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্ট হয়েছে।
কয়েকদিন ধরে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ইনানীতে অবস্থিত তারকামানের হোটেল রয়েল টিউলিপ কতৃপক্ষ সৈকতকে দ্বিখণ্ডিত করার জন্য জিও ব্যাগ ফেলেছে সৈকতে।
তবে এ ব্যাপারে হোটেল কতৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলছেন, সমুদ্র সৈকতে এমন বাঁধ তৈরি করে বঙ্গোপসাগরের স্বাভাবিক স্রোতে জলজ-জীববৈচিত্রের আবাসভূমি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তাদের দাবি, পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ অবিলম্বে সরিয়ে নেয়া হোক। পাশাপাশি যারা এসব কাজে জড়িত তাদের পরিবেশের ক্ষতির দায়ে আইনের আওতায় আনা হোক।
সাগরতীর প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হলেও এখানে পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ নিয়ে সাধারাণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের শেষ নেই।
তাদের মতে, পুঁজিবাদ ও পর্যটনের ধোঁয়া তুলে সাগর সৈকত গ্রাস করার পরিকল্পনা বন্ধ করা হোক।
পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি কক্সবাজার (ইয়েস) এর প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে যে কোন ধরণের জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা শুভকর নয়।
তিনি বলেন, সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে জেটি নির্মাণ ইতোপূর্বেও আমরা আন্দোলন করে বন্ধ করেছি।
এবারও এ ধরণের কোন কর্মকান্ড হলে আমরা কক্সবাজারবাসীকে নিয়ে তা প্রতিহত করার পাশাপাশি সবাই মিলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে রক্ষা করতে হবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, কক্সবাজার সৈকতে গণবিরোধী কোন কাজ করতে দেয়া হবে না।
সৈকতে জেটি নির্মাণ সংক্রান্ত একটি মামলাও চলমান বলে জানান তিনি।