যুদ্ধাপরাধীর দল জামায়াত-শিবিরকে সাথে নিয়ে বিএনপি আবারো আগুন-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে দিয়েছে। সন্ত্রাসীদের এই জোটটি চায় না বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে-সহাবস্থানে থাকুক। প্রতিনিয়ত গুজব-প্রপাগা-া ছড়িয়ে দেশের মধ্যে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নদিকে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।

তাই যতই ষড়যন্ত্র এবং জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করুক না কেন, এই বাংলার মাটিতে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত অপশক্তিকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। সেই অপশক্তিকে মোকাবেলায় যুবলীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মীকে প্রস্তুতি নিতে হবে নতুন করে। যাতে ভবিষ্যতে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে অতীতের মতোই মোকাবেলা করতে পারি। বর্তমানে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে ক্ষমতায় চায় না জনগণ।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার বিকেলে চকরিয়া পৌরশহরের কাজী মার্কেট চত্বরে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম। তিনি উপস্থিত হাজারো নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে উপরোক্ত নির্দেশনামূলক কথাগুলো বলেন।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ও বিশেষ বক্তার বক্তব্য দেন যথাক্রমে জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যথাক্রমে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও দলের উপজেলার সহ-সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, জেলার নেতা আমিনুর রশীদ দুলাল, আওয়ামী লীগ নেতা পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টু, জামাল উদ্দিন জয়নাল, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, সহ-সভাপতি ওয়ালিদ মিল্টন, সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি হাসানগীর হোছাইন ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।

এর আগে যুবলীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এর পর পৌরশহরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের ডাকবাংলো থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য র‌্যালি। র‌্যালিটি সমাবেশস্থলে গিয়ে মিলিত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয় ।