মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ২টি গোলা বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ১২০ মিটার ভেতরে পড়েছে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে পড়ে গোলা দুটি। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সতর্ক অবস্থায় আছে এবং সেখানে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মিয়ানমারের যুদ্ববিমান থেকে ছোঁড়া গোলা আমার ইউনিয়নের এলাকায় এসে পড়েছে। সেখানে কোনো লোকজন ছিল না। তবে এ ঘটনায় ইউনিয়নে প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দা আতঙ্কে আছে। ’
এর আগে রবিবার (২৮ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার সময় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১-এর মাঝামাঝি স্থানে মায়ানমার সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান এবং দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার টহল দেয়। সে সময় তাদের যুদ্ধবিমান থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০টি গোলা ছোড়া হয়। এ ছাড়া হেলিকপ্টার থেকেও আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫টি গুলি করতে দেখা যায়। এ সময় সীমান্ত পিলার ৪০ বরাবর আনুমানিক ১২০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা পড়ে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু বিজিবি বিওপির সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫ এর মাঝামাঝি মিয়ানমার অংশে ২-বিজিপির তমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে চার রাউন্ড ভারি অস্ত্রের গুলি করা হয়। এখনও মিয়ানমারের মুরিঙ্গাঝিরি ক্যাম্প ও তমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে থেমে থেমে মর্টার ফায়ার চলমান রয়েছে। সূত্র:কালেরকণ্ঠ।