রাষ্ট্রের স্বার্থ বিরোধী কর্মকান্ডে ‘মুক্তি কক্সবাজার’

কক্সবাজারের রেহিঙ্গা ক্যাম্পে রাষ্ট্রের স্বার্থ বিরোধী অনৈতিক কর্মকান্ড চালাচ্ছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) মুক্তি কক্সবাজার। যার প্রেক্ষিতে সংস্থাটির সকল প্রকল্পের কার্যক্রমের উপর কঠোর নজরধারী রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত পত্রের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যান বিভাগের প্রশাসন ১ শাখা থেকে পাঠানো এক পত্রে এসব নিদের্শনা প্রদান করা হয়েছে। গত ১২ ফেব্রæয়ারি সংশ্লিষ্ট শাখার সিনিয়র সহকারি সচিব রাহেলা রহমত উল্লাহ স্বাক্ষরিত নির্দেশনার পত্রটি প্রতিবেদকের হাতে পৌঁছে।

ওই পত্রে বলা হয়েছে, গত ১৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মুক্তি কক্সবাজার নামের এনজিও’র নেতিবাচক কর্মকান্ডের বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সচিব বরাবরে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পত্রের সংস্থাটি রোহিঙ্গাদের অনৈতিক কর্মকান্ডে উদ্ধুদ্ধকরণ, প্রত্যাবাসনে নিরুৎসাহিত করার অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের নিদের্শন অনুসরণ না করে সংস্থাটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা প্রদান ও গর্ভবতি নারীদের নিয়ে কাজ করছে। সংস্থাটির প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ে রয়েছে অনিয়মও।

পত্রে মুক্তি কক্সবাজার বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় রোহিঙ্গা সংক্রান্ত কোন নতুন প্রকল্প অনুমোদন না দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংস্থাটির সকল কার্যক্রমের উপর নজরধারী, প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের মুক্তি কক্সবাজারের কোন কার্যক্রমে অংশ না দেয়ার নির্দেশনাও দেয়া হয়।

যার অনুলিপি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের চিঠিটি হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। তিনি জানান, চিঠি হাতে না পেলেও বিষয়টি কয়েকটি মাধ্যমে জেনেছেন। সংস্থাটিতে বর্তমানে অনেক প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্প চলমান থাকলে প্রকল্পের ব্যাপারে সংস্থাটির সাথে আলাপ করতে হয়। জেলা প্রশাসক হিসেবে এটা দায়িত্ব রয়েছে। যদি সংস্থাটির প্রকল্প বাতিল বা এনজিও ব্যুারোর নিবন্ধন বাতিল করা হতো তাহলে অংশ নেয়ার সুযোগ ছিল না। তারপরও মন্ত্রণালয়ের চিঠিটি হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে।

কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে এখন বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।

মুক্তি কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দে সরকার এসব অভিযোগের কোনটি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, এসব অভিযোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তদন্ত হয়েছে। তদন্তে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

%d bloggers like this: