নিজস্ব প্রতিবেদক
অপরিকল্পিত উন্নয়নের মাশুল দিচ্ছে মহেশখালীর মানুষ। চলতি বর্ষাকালে প্রধান সড়ক ও সংলগ্ন ব্রিজ কালভার্টের সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। যা অসহনীয় আকার ধারণ করেছে। বর্ষা শুরুর পরে সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে স্থানীয়দের মাঝে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোরকঘাটা বাজার থেকে শাপলাপুর ইউনিয়ন হয়ে চালিয়াতলী পর্যন্ত প্রধান সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় সড়ক সংস্কার ও কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলছে। শাপলাপুর বাজারে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ায় যানবাহন চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে একই ইউনিয়নের ষাইটমারা গ্রামে সড়কের উপর নির্মিত ব্রিজের কাজ চলমান থাকায় পাশের খালের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে। এতে জানমাল ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
শাপলাপুর ইউনিয়নের আরিফুল ইসলাম, মিনহাজ আবেদীন রিফাত জানান, সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ার আগে বিকল্প সড়ক করার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। যার কারণে ব্রিজের পাশের খাল দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে হচ্ছে। বর্ষায় অতি বৃষ্টির কারণে পানি বৃদ্ধি ও স্রোত থাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি ছোট বড় যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে স্থানীয়রা চরম ক্ষুব্ধ।
হোয়ানক ইউনিয়নের মোহাম্মদ আবছার জানান, গোরকঘাটা থেকে হোয়ানক-কালারমারছড়া হয়ে চালিয়াতলী পর্যন্ত অপর প্রধান সড়কটিরও বেহাল দশা। সড়কের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় চলতি বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন অংশ ধসে যায় এবং ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে করে চরম ভোগান্তি নিয়ে স্থানীয়দের চলাচল করতে হয়। এছাড়া সড়কের বিভিন্ন অংশে বিকল্প চলাচল পথ সৃষ্টি না করে সংস্কার কাজ করায় জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে জানান, বর্ষার আগেই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সারাদেশ লকডাউন থাকায় সড়ক উন্নয়নের কাজ করা যায়নি। তাই এখন শুরু হয়েছে আবার।
তিনি আরও বলেন, শাপলাপুর ষাইটমারা গ্রামে নির্মানাধীন ব্রিজের পাশে বিকল্প রাস্তা করা হয়েছিল। কিন্তু তা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়।
প্রধান সড়ক বারবার ক্ষতিগ্রস্থ কেন হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চায়নাদের ভারী যানবাহন সহ অন্যান্য ভারী যানবাহন প্রবেশ করায় মূলত রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দ্রুত সড়কের কাজ শেষ হবে।