কক্সবাজারের ক্ষতি কাটাতে জনগণের পাশে আছে সরকার

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনে কক্সবাজারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি কাটাতে জনগণের পাশে ও ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনে সব কিছু করবে সরকার। 

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় হামুন পরবর্তী জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ভয়াবহ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। নাহলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে যাবে। তাই জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের চাহিদা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আরও বরাদ্দ পাঠানো হবে শিগগিরই।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছি। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ১৩১ মেট্রিক টন চাল, সাড়ে ১৮ লাখ নগদ টাকা, ৫০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহ নির্মাণের জন্য ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিহত ৩ জনের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, শরণার্থী কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।

সভায় জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে জেলার ৭০টি ইউনিয়ন, কক্সবাজার ও মহেশখালী পৌরসভার ৩৭ হাজার ৮৫৪ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার ১০৫টি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৭৪৯টি বাড়িঘর। এতে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫৪৯ জন মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। হামুনের তাণ্ডবে পল্লী বিদ্যুতের ৩৫৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। বিকল হয়েছে ২৩টি ট্রান্সফরমার। ৪৯৬ স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেছে। ৮০০টি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

তিনি আরও জানান, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া এলাকা।

এর আগে সকালে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় হামুনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা শহরের সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া, খুরুশকুল, সদর ও মহেশখালী উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দুর্গতদের ত্রাণ ও ঢেউটিন উপহার দেন।

Leave a Reply