দেশের কৃষিখাতে অবদান রাখায় ৪৪ ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’ দেয়া হচ্ছে।
আগামীকাল রাজধানীর ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬ দেয়া হবে।
১৪২৫ বঙ্গাব্দের জন্য ১৫ এবং ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ পুরস্কার পাবেন। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক আজ সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬’ প্রদান উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান।
এসময় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩টি স্বর্ণ, ১৬টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জ পদক দেয়া হবে। এছাড়া বিজয়ীদের সনদপত্র ও নগদ টাকা দেয়া হবে। স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা ১ লাখ টাকা, রৌপ্যপদ প্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপ্রাপ্তরা ২৫ হাজার টাকা নগদ পাবেন।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের চিরবঞ্চিত, অবহেলিত ও শোষিত কৃষকের উন্নয়নে স্বাধীনতার পরপরই যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। কৃষি গবেষণায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে বঙ্গবন্ধু সরকারি চাকুরিতে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়ে কৃষির আধুনিকায়নে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
তিনি বলেন, কৃষি এবং কৃষকদের উৎসাহিত করতে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল’ গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকবান্ধব। তাই তিনি কৃষির সাফল্যের অন্যতম কারিগর কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানীসহ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্তদেরকে সম্মাননা জানাতে ও তাদেরকে উৎসাহিত করতে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা প্রবর্তন করেছেন। এই সম্মাননার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার কৃষিকে সম্মানজনক পেশায় পরিণত করেছে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিখাতের প্রতি বঙ্গবন্ধুর কৃষকদরদী নীতি ও প্রধানমন্ত্রীর চির অবারিত হাত কৃষিকে করেছে আরও সুসংহত। ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’ প্রবর্তনের মাধ্যমে কৃষিতে আগ্রহী জনশক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার বিজয়ী সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কৃষি ক্ষেত্রে নানাভাবে অবদান রেখে চলেছেন। একইসঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা দেয়ায় কৃষি পেশার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।