টেকনাফে বিজিবির অভিযান: ৩.৩২০ কেজি স্বর্ণ ও ৫ কেজি কারেন্ট জাল উদ্ধার

টেকনাফে ২ বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৩.৩২০ কেজি স্বর্ণ ও ৫ কেজি কারেন্ট জাল উদ্ধার করেছে। এসময় মোঃ ইয়াছ নূর (২২) নামের এক যুবককে আটক করা হয়। সে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড শাহপরীরদ্বীপ উত্তর পাড়ার মোঃ জাকারিয়া”র ছেলে। ১১ জানুয়ারি বুধবার রাত ৮ টার সময় টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৩ হতে আনুমানিক ৭০০ গজ উত্তর দিকে ওবিএম পোস্ট এলাকা দিয়ে স্বর্ণের একটি বড় চালান মািয়ানমার হতে বাংলাদেশে আনার পথে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটক স্বর্ণ ও কারেন্ট জালের বাজার মূল্য ২ কোটি ৫৯ লক্ষ ৩৯ হাজার ছয়শত টাকা বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার (বিজিবিএম)।

তিনি জানান, ”  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ১১ জানুয়ারি (বুধবার) টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ শাহপরীরদ্বীপ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৩ হতে আনুমানিক ৭০০ গজ উত্তর দিকে ওবিএম পোস্ট এলাকা দিয়ে স্বর্ণের একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের সার্বিক দিক নির্দেশনায় টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদর হতে উপ-অধিনায়ক এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল এবং শাহপরীরদ্বীপ বিওপি হতে একটি চোরাচালান দমন টহলদল বর্ণিত এলাকায় যায়। কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক রাত ৮ টার সময় টহলদল উক্ত স্থান দিয়ে গোপন তথ্যের সাথে সাদৃশ্য একজন ব্যক্তিকে নাফ নদীতে মৎস্য আহরণ শেষে জাল হাতে নিয়ে কেওড়া বাগানের ভিতর দিয়ে পায়ে হেঁটে বেড়ীবাঁধের দিকে আসতে দেখে। উক্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বিজিবি টহলদল চ্যালেঞ্জ করে। উক্ত ব্যক্তি বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই তার হাতে থাকা জাল ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালোনোর চেষ্টা করলে টহলদল তাকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয়। উক্ত ব্যক্তিকে তল্লাশী করে তার কোমরে অভিনব পদ্ধতিতে ফিটিং অবস্থায় নেটের জাল ও টেপ দিয়ে মোড়ানো ২টি স্বর্ণের বারের বেল্ট এবং ৫ কেজি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত বেল্টগুলো খুলে ২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারের ওজন ৩.৩২০ কেজি। যার বর্তমান বাজার মূল্য ২ কোটি ৫৮ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬” শ টাকা। ধৃত আসামীর স্বীকারোক্তিতে উক্ত স্বর্ণ পাচারের সাথে আরো ২ জন চোরাকারবারী (পলাতক আসামী) জড়িত রয়েছে বলে জানায়। তিনি আরো জানান,  উদ্ধারকৃত কারেন্ট জাল টেকনাফ কাষ্টম অফিসে এবং স্বর্ণের বার সমূহ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ট্রেজারী শাখায়) জমা করা হয়েছে।

এ ছাড়া আটককৃত একজন আসামী এবং দুজনকে পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে সরকারী কর/শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণ চোরাচালানের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

Leave a Reply

%d bloggers like this: