আব্দুস সালাম,টেকনাফ(কক্সবাজার)
কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং নয়াপাড়ার চাঞ্চল্যকর বিকাশ ও নগদ এজেন্ট কর্মী আব্দুর রহমান হত্যা মামলার অন্যতম আসামী শওকত (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা গ্রেফতার করেছে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে টেকনাফ সাবরাং নয়াপাড়ার ঝিনাপাড়া এলাকায় র্যাব-১৫ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে নগদ এজেন্ট কর্মী আব্দুর রহমান হত্যা মামলার ৭নং এজাহার নামীয় আসামী শওকতকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত আব্দুর রহমান সাবরাং পুরানপাড়ার মৃত মো. ইয়াসিনের ছেলে।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিঃ পুলিশ সুপার
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,অনুসন্ধানে জানা যায় যে, মৃত আব্দুর রহমানের বিকাশ ও নগদ এজেন্টের ব্যবসা ছিল। পেশাগত কারণে ভিকটিম অনেক রাত পর্যন্ত বাইরে থাকতো। টাকা পয়সাসহ অনেক ব্যাপারে ভিকটিমের সাথে আসামীদের পূর্ববিরোধ চলে আসছিল। গত সোমবার (১৭ অক্টোবর) অনুমানিক রাত ১টা থেকে ভোর ৫ টার মধ্যে এজাহারনামীয় আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আব্দুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং তার চেহারা বিকৃত করে দেওয়ার জন্য তার মুখ পাথর ও টর্চলাইট দিয়ে থেতলে দেয়। পরে আসামীরা উক্ত স্থানে লাশ ফেলে চলে যায়। এই পাশবিক ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে টেকনাফসহ সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৪৩/৯৩৫, তারিখ ১৮/১০/২০২২ ইং। মামলা হওয়ার পর আসামীগন বিভিন্ন জায়গায় আত্নগোপন করে। মর্মান্তিক এই হত্যাকান্ডের ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্যাব-১৫, সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোয়েন্দো নজরদারি ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার অন্যতম আসামী
সাবরাং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিন নয়াপাড়ার মৃত- আলী আকবরের ছেলে শওকত আলম (৩৮) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরো জানান,গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পূর্বের মামলা মোতাবেক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।