টেকনাফে হাতের কব্জি কেটে উল্লাস করা চাঞ্চল্যকর মামলার ৫ আসামি গ্রেফতার 

টেকনাফ প্রতিনিধি

কক্সবাজার টেকনাফের নাজিরপাড়ায় এক ব্যবসায়ীর হাত কেটে উল্লাস করার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব ১৫ কক্সবাজার।শনিবার ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ‍্য নিশ্চিত করে র‍্যাব জানান,গত ২৬ নভেম্বর বেলা ২ ঘটিকার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় ইউনিয়ন সদস্য এনামুল হক ও তার অধীনে সন্ত্রাসীরা টেকনাফের নাজিরপাড়ার মৃত নজির আহমদের ছেলে সিদ্দিক আহম্মদের দুই হাতের কব্জি কেটে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করে উল্লাসে মেতে উঠে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে মুহূর্তের মধ্যে সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ সংক্রান্তে ভিকটিম ছিদ্দিক আহম্মদের ছেলে রাশেদুল আলম কক্সবাজারের টেকনাফ থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৬৮, তারিখ-২৭ নভেম্বর, ২০২২; জি আর নং-১০৩২, ধারা-১৪৩/১৪৪/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড-১৮৬০। ঘটনার পর হতে এ ঘটনায় জড়িত আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে চলে যায়। র‌্যাব-১৫ বর্ণিত ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হওয়ার সাথে সাথে আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারসহ বিভিন্ন এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবগত হয়ে গতকাল ১৬ ডিসেম্বর কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকা হতে উক্ত ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ৫ জনকে আটক করেছে র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের আভিযানিক দল।

গ্রেফতারকৃতরা হলোঃ একই এলাকার নুরুল হক (৩৮), পিতা-মৃত মোজাহের মিয়া,জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), পিতা-দিল মোহাম্মদ কালু,দিল মোহাম্মদ কালু (৫৮), পিতা-মৃত ফজল আহম্মদ, সর্ব-নাজির পাড়া, ০৮ নং ওয়ার্ড, টেকনাফ সদর ইউপি,আবুল কালাম (৩৮), পিতা-মীর কাশেম, সাং-শীলবনিয়া পাড়া,ছৈয়দ উল্লাহ (৩৬), পিতা-মৃত মোঃ রফিক, সাং- নাজির পাড়া ৮ নং ওয়ার্ড টেকনাফ সদর ইউপি,সর্ব থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।এরা সকলেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী।

র‍্যাব আরও জানান,এজাহারনামীয় ৩ নং আসামী নুরুল হক (৩৮) এর অপরাধঃ  ভিকটিমের চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে এবং একটি কাটা হাত নিয়ে আনন্দ উল্লাস করে। এছাড়াও বর্ণিত আসামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পূর্বের ১ টি অস্ত্র, ১ টি মাদক, ০১ টি চাঁদাবাজি ও ২ টি মারামারির মামলা রয়েছে।

এজাহারনামীয় ৭ নং আসামী জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) এর বিরুদ্ধে রামু ও টেকনাফ থানায় পূর্বের ১ টি অপহরণ ও ১ টি মারামারির মামলা রয়েছে।

এজাহারনামীয় ৮ নং আসামী দিল মোহাম্মদ কালু (৫৮) এর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় পূর্বের ১ টি মারামারির মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

Leave a Reply