ট্রলারে ১০ জনের মরদেহ : জবানবন্দি দিলেন দুই আসামি

কক্সবাজারে ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ফজল কাদের ওরফে ফজল মাঝি ও মো. আবু তৈয়ব। গতকাল সোমবার (১ মে) বিকেলে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গার কাছে তারা জবানবন্দি দেন।

মঙ্গলবার (২ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দুর্জয় বিশ্বাস।

তিনি জানান,  রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন ফজল মাঝি ও আবু তৈয়ব। এর প্রেক্ষিতে আদালতে হাজির করা হলে তারা জবানবন্দি দেন।

এর আগে (১ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মামলার এই দুই অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। দুপুরে একই মামলার আরেক অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিন মুনিরের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মুনিরকে যে কোনো সময় রিমান্ডের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্জয় বিশ্বাস।

গত ২৬ এপ্রিল ভোরে ফজল কাদের ওরফে ফজল মাঝি ও মো. আবু তৈয়বকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর আদালতের নির্দেশে তাদের তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
অপরদিকে মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি মাতারবাড়ি এলাকার ট্রলার মালিক বাইট্টা কামাল ও চার নম্বর আসামি ট্রলার মাঝি করিম সিকদারের পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে হচ্ছে আজ। তবে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তারা  হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার বিষয়ে কী ধরনের তথ্য প্রকাশ করেছেন সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি পুলিশ।

কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের এসআই দুর্জয় বিশ্বাস বলেন, জবানবন্দিতে ঘটনায় জড়িত অন্তত ২০ জনের নাম প্রকাশ করেছেন মামলার ১ নম্বর আসামি কামাল। মামলা তদন্তের স্বার্থে আপাতত বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না ।

গত ২৩ এপ্রিল কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক এলাকায় একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে এখনও চারজনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। ডিএনএ পরীক্ষার পর মরদেহ শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Leave a Reply