কক্সবাজারের টেকনাফ দক্ষিণ লম্বরী ঘাট থেকে ৮ লাখ ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় তিন রোহিঙ্গাসহ চার আসামিকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ভোলার চরফ্যাশন দৌলতপুরের মৃত সোবাহান হাওলাদারের ছেলে মোহাম্মদ আলী, মিয়ানমারের মংডু আলীটানজু হাসুরাতা এলাকার আবুল বশরের ছেলে হাফিজ উল্লাহ, আকিয়াবের বুচিদং কিতার বিলের বাসিন্দা মৃত নজু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ জামিল ও মংডুর নারির বিলের মৃত হোসেনের ছেলে বদি আলম। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট সাঈদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী ও মইনুল আমিন মামলা পরিচালনা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
আদালতের নাজির বেদারুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার নথির সূত্র ধরে তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর টেকনাফ দক্ষিণ লম্বরী ঘাট থেকে ৮ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব-৭। এ ঘটনায় ২৭ সেপ্টেম্বর চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন টেকনাফ অস্থায়ী ক্যাম্পের ডিএডি নাজমুল হুদা। ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনজুরুল হক। ২০১৯ সালের ৯ মে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজ আদালত এই রায় দেন।