স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, আগামী ১৩ জানুয়ারি টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা সকলে মিলেমিশে সুন্দরভাবে শেষ করবেন। ইজতেমা উপলক্ষে মুসল্লীদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে প্রস্তুতিমূলক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আগত মুসল্লিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ময়দানের কাজে সহযোগিতা করবেন। বিশেষ করে এবার বিদেশি মেহমানদের জন্য নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। প্রথমপর্বে আগত বিদেশি মুসল্লিরা আখেরি মোনাজাতের পর বিমানবন্দর হাজী ক্যাম্পে অবস্থান করবেন। সেখান থেকে তারা তাদের স্ব-স্ব দেশে ফিরবেন। ইজতেমা আয়োজক কমিটির দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি তাদের মধ্যে বিগত বছরের মতো আর কোন ভুল বোঝাবুঝি হবে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন, ইজতেমার মুরুব্বী প্রকৌশলী মাহফুজ ও মিজানুর রহমান ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইলিয়াস আহমেদ প্রমুখ।
আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি প্রথম পর্ব ও ৪ দিন বিরতি দিয়ে ২০,২১ ও ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব এজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ডেসকো, ফায়ার সার্ভিস, তিতাস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল মন্ত্রণালয়, সরকারি হাসপাতাল, সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।