যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে গত ৪ জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে নিহত হন সৈয়দ ফয়সাল আরিফ নামে এক বাংলাদেশি। যে পুলিশ আরিফকে হত্যা করেছে, তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বোস্টনে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় ন্যায়বিচার হবে।’
সোমবার (৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রাষ্ট্রদূত বিষয়টি ওয়াশিংটনে উত্থাপন করেছেন। মার্কিন সরকার আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে এখানে ন্যায়বিচার হবে। যে পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত বা ডিউটি থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। এমন একটি তথ্য আমরা পেয়েছি।
হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধনের কারণে মার্কিনিদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বা যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের দূতাবাসে যদি এখন একটি পাতাও নড়ে, সেটি সবাই পর্যবেক্ষণ করবে। এটিতে এত উৎসাহী হওয়ার কোনও অবকাশ নেই।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা মনে করি যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যে কারণে হয়তো নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যখন আমরা আলোচনা করছিলাম, তখন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রত্যাশা ছিল—র্যাবের গুলিতে যদি কেউ মৃত্যুবরণ করে, আমরা যেন সেই বিষয়গুলো তদন্ত করি বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে শাহীন নামে যে ব্যক্তি মারা গেছে, সেটির বিষয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছিলাম—তাদের তত্ত্বাবধানে যেন একটি তদন্ত হয়। কারা অপারেশনে বা যে ডিপার্টমেন্ট জড়িত ছিল তাদের বাইরে থেকে এবং ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি যেন করে। এটির পূর্ণ তদন্ত হয়েছে এবং এর রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। মার্কিন প্রশাসনের কাছে দিয়েছি। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা পূরণেরও চেষ্টা করছি।’