‘মোখা দেখতে’ কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ভিড়

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এজন্য সমুদ্র উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি উচ্চতায় ঢেউ আছড়ে পড়ছে।

তবে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ও সৈকতে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঘূর্ণিঝড় মোখা দেখতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিড় করেছেন বহু পর্যটক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা কিংবা অনুরোধ কেনোটিই মানছেন না তারা।

শনিবার  (১৩ মে) বিকেল ৫টার দিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের ছবি তুলতে দেখা গেছে অনেককে। সিলেট থেকে আসা হাসান আলী তাদের একজন। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সমুদ্র পাড়ে কেন? এ প্রশ্নের জবাবে হাসান বলেন, সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আর ঝাপটা বাতাসের দোলায় রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে এসেছি। সৈকতে নেমে গোসল করতে না পারায় মন কিছুটা খারাপ।

আব্দুল মালেক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ঘূর্ণিঝড় কীভাবে আঘাত হানে সেটা কখনো দেখিনি। তাই এটি দেখতে সাগর পাড়ে আসলাম। পথে দুই পুলিশ সদস্য বাধা দিয়েছে। আমরা অন্য পাশ দিয়ে এসেছি।

dhakapost

কক্সবাজার পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, সাগরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলেও অনেকে তা অমান্য করে ঢুকে পড়ছেন। আসলে মানুষ নিজেরা সচেতন না হলে আমরা বাধা দিয়ে কতটা কী করতে পারব? বিকেলের দিকে অনেককেই সতর্ক করেছি। তবে আমাদের তৎপরতা চলবে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় আমরা সব সময় সজাগ আছি। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিচে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি। এটি বাস্তবায়নের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচ কর্মীরা মাঠে নেমেছেন। কক্সবাজারের উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের জন্য হোটেল-মোটেলগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

Leave a Reply