অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
শনিবার (১৩মে) মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ।
ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার উপকূল থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। এজন্য কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি উচ্চতায় ঢেউ আছড়ে পড়ছে।
মাসুম বিল্লাহ বলেন, সমুদ্র সৈকত এই মুহূর্তে খুবই উত্তাল। কাল থেকে কক্সবাজারে প্রভাব পড়া শুরু করবে। যেকোনো সময় বড় ধরনের বিপদ হতে পারে । সবকিছু বিবেচনা করে এই সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা দেখেছি গোসল করতে পর্যটকদের বিধিনিষেধ দিলেও তারা সেটি অমান্য করে গোসল করেন। তাই তাদের আটকানো যায় না। এজন্য পর্যটকদের সবকিছু বিবেচনা করে সৈকত এলাকায় প্রবেশে নিষেধ করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হচ্ছে ততক্ষণ সমুদ্র সৈকতে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই কক্সবাজারের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। দুপুর আড়াইটা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, মোখা কক্সবাজার উপকূলের কাছাকাছি। ফলে সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। মোখার প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসের তীব্রতা বাড়বে। ফলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং পাহাড়ের বসতিগুলো ঝুঁকিতে পড়বে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তায় আমরা সবসময় সজাগ আছি। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সমুদ্র সৈকতে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছি। এটি বাস্তবায়নের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচ-কর্মীরা মাঠে নেমেছেন।