যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক না বাড়ানোর কোনও কারণ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা ও বাণিজ্যসহ আরও অনেক বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক না বাড়ানোর কোনও কারণ নেই।’

সোমবার (৯ জানুয়ারি) নিজ দফতরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুবিধ সম্পর্কের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে। আমরা একসঙ্গে শান্তিরক্ষীতে কাজ করি, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অনেক বিষয়ে। আমাদের সমুদ্র নিরাপত্তায় তারা সাহায্য করেছে। আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু জিনিস সংগ্রহ করেছি। সুতরাং, আমাদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ চলছে।’

মূল্যবোধ

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একই ধরনের মূল্যবোধে বিশ্বাস করে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যে ধরনের মূল্যবোধ ও নীতিতে বিশ্বাস করে, আমরাও একই ধরনের মূল্যবোধ ও নীতিতে বিশ্বাস করি। তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে বিশ্বাস করে, আমরাও করি। আমাদের মধ্যে কোথাও গ্যাপ থাকতে পারে, দুর্বলতা থাকতে পারে এবং তারা যদি বন্ধু হিসেবে সেটি আমাদের বলে, আমাদের জন্য লাভ। আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিও।’

উদাহরণ হিসেবে মোমেন বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে তারা একটি বক্তব্য দিয়েছিল এবং আমরা দেখেছি—সেখানে কিছু দুর্বলতা আছে। আমরা সেটি সংশোধন করেছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এটি অত্যন্ত সুখের বিষয় যে বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। আমরা খুশি। আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে গঠনমূলক আলোচনা সেটি বাড়ছে।’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট গত ৫০ বছরে আমাদের সুসম্পর্কের কথা বলেছেন এবং আগামী ৫০ বছরে আমরা আরও উন্নত অবস্থায় যেতে চাই বলে তিনি জানান।

নিষেধাজ্ঞা

নতুন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এগুলো বিশ্বাস করি না। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে কিছু আইনি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং তারা বিভিন্ন ধরনের বানোয়াট তথ্য দেয়। এর ফলে ব্যক্তিবিশেষ হয়তো প্রভাবিত হয়, কিন্তু সরকার আমার মনে হয় না প্রভাবিত হয়।’

গত তিন বছরে আমার জানামতে কোনও গুম হয় নাই। এটি একটি বড় উন্নতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একসময় র‌্যাবের কিছু বাড়াবাড়ি ছিল। বেশ অনেক বছর ধরে র‌্যাবের বাড়াবাড়ি কম এবং র‌্যাবের কয়েকশ’ লোকের প্রমোশন হয়নি, কিংবা তাদের শাস্তি হয়েছে। সুতরাং, তাদের মধ্যে নিজস্ব দায়বদ্ধতার ব্যবস্থা আছে।’

Leave a Reply