সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে আবারো স্থলমাইন বিষ্ফোরণে পা উড়ে গেলো চোরাকারবারীর

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ফুলতলী-জামছড়ি পয়েন্টে গরু আনতে গিয়ে আবারো পা উড়ে গেছে নাইক্ষ্যং ছড়ির এক যুবকের । তার নাম নুরুল আমিন (২৭)। সে স্থানীয় সদর ইউনিয়নের চেরারকূলের অলি আহমদের পুত্র।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার গভীর রাত প্রায় ৩টার দিকে। সে বাংলাদেশ -মিয়ানমার সীমান্কের ৪৬-৪৭ পিলার সীমানার গোপন সরু পথ পার হয়ে মিয়ানমার অভ্য৭ন্তরে গরু আনতে গিয়ে এ দূর্ঘটনায় পতিত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাইক্ষ্যং ছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন। তিনি বলেন, ঘটনা সঠিক।
চোরাই পথে গরু আনতে গিয়ে সে মাইন বিষ্ফোরণে আহত হয়।
আহত নুরুল আমিন তার ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চেরারকূলের বাসিন্দা। তাকে কক্সবাজার নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে শুনেছেন তিনি।
এদিকে ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের (ফুলতলী) ইউপি সদস্যন মোঃ শামশুল আলম জানান,ঘটনা তার ওয়ার্ডেই। যেটি মূলত গরু পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট। এ পয়েন্ট দিয়ে গভীর রাতে অবৈধ পন্থায় চোরাই পথে মিয়ানমারের অভ্য ন্তরে গরু আনতে গিয়ে মাইন বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তার একটি পা উড়ে যায়।

তিনি আরো জানান, এ পয়েন্ট দিয়ে গত কিছুদিন আগে বেলাল নামের অপর এক গরু ব্যবসায়ী পা হারায়। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে পা হারালো নুরুল আমিন।
উল্লেখ্য সম্প্রতি সীমান্ত জুড়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের দেশের বিদ্রোহী স্বশস্ত্র গোষ্টি আরএসও এবং আরকান আর্মিকে ঠেকাতে স্থলমাইন পুঁতে রাখে পাহাড়ি পথ গুলোতে । জঙ্গলাকীর্ণ এ পথে কিছু পয়েন্ট আবার কোন কোন পয়েন্ট অনিরাপদ। কেউ তাদের সাথে সমন্বয় না করে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট ক্রস করলেই মাইন বিষ্ফোরণের কবলে পড়ে।
সীমান্তে বসবাসরত একাধিক বাসিন্দা এ প্রতিবেদককে জানান, এ সীমান্তে ১১ বিজিবির জোয়ানরা রাতদিন টহল দেন চোরাকারবারী ঠেকাতে। এমন কি গহীন রাতেও। এভাবে সীমান্তের এ পয়েন্টে টহল দিতে গিয়ে গত ১৮ অক্টোবর প্রাণ হারান নায়েব সুবেদার আবদুল মান্নান।
পৃথক ঘটনায় পা হারিয়েছেন মোঃ বেলাল নামের এক গরু চোরাকারবারী। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্যে তৎপর হন বিজিবি। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (১০ ডিসেস্বর) সকালে ১১ বিজিবি স্কুল মাঠে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের সর্বস্থরের লোকজন নিয়ে গনসচেতনা মূলক সভা করেন ১১ বিজিবি কতৃপক্ষ। যেখানে বিজিবির জোন কমান্ডার, ইউএনও, পুলিশ, বনকর্মকর্তা, হেডম্যান-কারবারী, সমাজ পতি, নেতা, শিক্ষক ও সাংবাদিক সকলে উপস্থিত ছিলেন। এ সভা সম্পন্ন হওয়ার ৮ ঘন্টার মাথায় চোরাকারবারীরা নিষেধাজ্ঞা না মেনে গোপনে গরু আনতে যায় সীমান্তে । যাতে পা হারায় নুরুল আমিন।

Leave a Reply