সেই শাহ আলীর ২১ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ

কক্সবাজারের উখিয়া থেকে গত রোববার গ্রেপ্তার হওয়া শাহ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনটি মামলায় সাতদিন করে মোট ২১ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। তবে আদালত এ বিষয়ে এখনও কোনো আদেশ দেননি।

আটকের পর তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করেছে আর্মড পুলিশ। আরও একটি মামালা হয়েছে অপহরণের অভিযোগে।

এপিবিএনের দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শাহ আলীর বিরুদ্ধে ঢাকার হাজারীবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা আছে। ২০১৯ সালে পুলিশের করা ওই মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। তার বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্রও আছে। শাহ আলী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডার আতাউল্লাহর ভাই।

উখিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত গাজী সালাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, তিনটি মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে ৩ মামলায় পৃথকভাবে সাতদিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। শুনানির পর আদালত এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।

রোহিঙ্গা শিবিরে দায়িত্বরত ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক, পুলিশ সুপার নাইমুল হক জানান, শাহ আলীর কাছে যে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে তা আসল কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি এপিবিএন। পুলিশের তদন্তে সেটি জানা যাবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে এ পর্যন্ত আরসার নাম ব্যবহার করে নানা অপকর্মে লিপ্ত ৫ শতাধিক রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

গত রোববার ভোররাতে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ শাহ আলীকে আটক করে এপিবিএন সদস্যরা।

শাহ আলীকে আটকে সংশ্লিষ্ট এপিবিএন জানিয়েছিল, উখিয়ার কুতুপালং ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠ এলাকায় বড় ধরণের অপরাধ সংঘটনের জন্য কিছু সশস্ত্র দুর্বৃত্ত অবস্থান করছিল। এই খবরে এপিবিএন’র একটি দল ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি করে অপরাধীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে অভিযান চালিয়ে চোখ বাঁধা অবস্থায় অপহৃত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার সময় এপিবিএন সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে শাহ আলীকে আটক করে। পরে তার হেফাজতে থাকা অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়।

Leave a Reply